Press ESC to close

ভয়ংকর গুম স্কোয়াডের সদস্য মাহতাবউদ্দিন

 

৫ আগস্টের আগে সে অধিকাংশ গুমের অপারেশনে থাকতো। রাস্তা থেকে দাড়ি ও টুপি পরা লোক দেখলেই তারা তাকে তুলে আনতো। সে সিনিয়রদের সামনে নিজেকে অনেক স্মার্ট পরিচয় দিতো। তার অভিযানের অনেক ছবি অনলাইনে পাওয়া যায়।  কনস্টেবল হিসেবে চাকরি করেও আইফোন ব্যবহার করতো এবং গর্বের সঙ্গে সবাইকে দেখাতো।

নামাজি ও পরহেযগার মানুষদের রাস্তা থেকে তুলে গুম করতো, এরপর মারধোর ও তুই-তোকারি করতো। পৈশাচিক নির্যাতন চালাতো। ভিকটিমদের বলতো, “তোর পরিবারসহ পালাবে আমাদের ভয়ে।” গালিগালি ও তুই-তোকারি ছাড়া অন্য কিছু কথা বলতো না।

মাহতাবের বিরুদ্ধে ভয়াবহ নির্যাতন ও ইসলামবিদ্বেষের অভিযোগ আছে।

এক ভিকটিমের বক্তব্য অনুযায়ী:
“আমি যখন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে রাজারবাগ পুলিশ জেনারেল হাসপাতালে ট্রাফিক ভবনে ভর্তি ছিলাম, আমার হাত সবসময় হাসপাতালের বেডের সঙ্গে আটকে রাখা হতো। প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করলেও হাতকড়া খুলে দিতো না। এমনকি এক এসআই আমার কষ্ট বুঝে হাতকড়া খুলতে চাইলেও তিনি বাধা দিতো।”

তিনি আরো বলেন:
“আমাকে ধরে নেওয়ার এক-দুই সপ্তাহের মধ্যেই মাহতাব তার একমাত্র প্রতিবন্ধী সন্তানকে চিকিৎসার জন্য ভারতে নিয়ে গিয়েছিল। প্রশাসন চাইলে তার ভারত সফরের বিষয়টি পাসপোর্ট চেক করে দেখতে পারে। প্রায় এক মাস পর দেশে ফিরে এসে আমাকে বলেছিল, ‘কিরে, তুই এখনো বেঁচে আছিস!’ সুযোগ পেলে তিনি আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতো।”

এমনকি ভিকটিমের পরিবারকেও গালিগালাজ করতো। এক ভিকটিমের পকেট থেকে টাকা ও গাড়ির চাবি নিয়ে নিয়েছিল। এগুলো সে ব্যাক্তিগত ভাবে ব্যাবহার করত । এমন কি ভিকটিমদের হেডফোন, ব্যাগ ইত্যাদি ব্যবহার করতেও দেখা গেছে তাকে।

অত্যাচারের ক্ষেত্রে তিনি এত বেশি আগ্রাসী ছিল যে, তার মতে তার অফিসাররা ঠিকমত মারতে পারে না।
তার কাছে লাঠি তুলে দিলে হাড্ডি একটাও থাকবেনা। তখন একাই সব সত্য কথা বলে দিবি।তার দায়িত্ব ছিল গুম সেলে রাখা ভিকটিমদের খোঁজ নেওয়া। কেউ বেশি অসুস্থ হলে ঔষধপত্র এনে দিতো। তার কাছে একাধিকবার ঔষধ চাইলেও সে দিতো না।

এক ভিকটিমের ভাষ্য অনুযায়ী:
“কারাগারে আমার রুমমেট একজন ছিলেন, যাকে এই আর্মস টিম নির্মমভাবে নির্যাতন করেছিল। প্লাস দিয়ে তার বুক ও হাতের চামড়া তুলে ফেলেছিল। প্রায় দুই বছর তাকে গুমে রেখেছিল সিটিটিসি। তিনি একদিন বলেছিলেন, মাহতাব তাকে এমন মারছিল যে এক পর্যায়ে মাহতাবের পায়ে নিজের লাঠির আঘাত লাগে, এরপর সে চার দিনের বেশি জ্বরে ভুগেছিল।”

মাহতাব এখনো সিটিটিতে কর্মরত। তার বিরুদ্ধে গুম কমিশন ও আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনালে একাধিক অভিযোগ রয়েছে।


।কনস্টেবল হিসেবে চাকরি করেও আইফোন ব্যবহার করতো এবং গর্বের সঙ্গে সবাইকে দেখাতো।

নামাজি ও পরহেযগার মানুষদের রাস্তা থেকে তুলে গুম করতো, এরপর মারধোর ও তুই-তোকারি করতো। পৈশাচিক নির্যাতন চালাতো। ভিকটিমদের বলতো, “তোর পরিবারসহ পালাবে আমাদের ভয়ে।” গালিগালি ও তুই-তোকারি ছাড়া অন্য কিছু কথা বলতো না।

মাহতাবের বিরুদ্ধে ভয়াবহ নির্যাতন ও ইসলামবিদ্বেষের অভিযোগ আছে।

এক ভিকটিমের বক্তব্য অনুযায়ী:
“আমি যখন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে রাজারবাগ পুলিশ জেনারেল হাসপাতালে ট্রাফিক ভবনে ভর্তি ছিলাম, আমার হাত সবসময় হাসপাতালের বেডের সঙ্গে আটকে রাখা হতো। প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করলেও হাতকড়া খুলে দিতো না। এমনকি এক এসআই আমার কষ্ট বুঝে হাতকড়া খুলতে চাইলেও তিনি বাধা দিতো।”

তিনি আরো বলেন:
“আমাকে ধরে নেওয়ার এক-দুই সপ্তাহের মধ্যেই মাহতাব তার একমাত্র প্রতিবন্ধী সন্তানকে চিকিৎসার জন্য ভারতে নিয়ে গিয়েছিল। প্রশাসন চাইলে তার ভারত সফরের বিষয়টি পাসপোর্ট চেক করে দেখতে পারে। প্রায় এক মাস পর দেশে ফিরে এসে আমাকে বলেছিল, ‘কিরে, তুই এখনো বেঁচে আছিস!’ সুযোগ পেলে তিনি আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতো।”

এমনকি ভিকটিমের পরিবারকেও গালিগালাজ করতো। এক ভিকটিমের পকেট থেকে টাকা ও গাড়ির চাবি নিয়ে নিয়েছিল। এগুলো সে ব্যাক্তিগত ভাবে ব্যাবহার করত । এমন কি ভিকটিমদের হেডফোন, ব্যাগ ইত্যাদি ব্যবহার করতেও দেখা গেছে তাকে।

অত্যাচারের ক্ষেত্রে তিনি এত বেশি আগ্রাসী ছিল যে, তার মতে তার অফিসাররা ঠিকমত মারতে পারে না।তার কাছে লাঠি তুলে দিলে হাড্ডি একটাও থাকবেনা। তখন একাই সব সত্য কথা বলে দিবি। তার দায়িত্ব ছিল গুম সেলে রাখা ভিকটিমদের খোঁজ নেওয়া। কেউ বেশি অসুস্থ হলে ঔষধপত্র এনে দিতো। তার কাছে একাধিকবার ঔষধ চাইলেও সে দিতো না।

এক ভিকটিমের ভাষ্য অনুযায়ী:
“কারাগারে আমার রুমমেট একজন ছিলেন, যাকে এই আর্মস টিম নির্মমভাবে নির্যাতন করেছিল। প্লাস দিয়ে তার বুক ও হাতের চামড়া তুলে ফেলেছিল। প্রায় দুই বছর তাকে গুমে রেখেছিল সিটিটিসি। তিনি একদিন বলেছিলেন, মাহতাব তাকে এমন মারছিল যে এক পর্যায়ে মাহতাবের পায়ে নিজের লাঠির আঘাত লাগে, এরপর সে চার দিনের বেশি জ্বরে ভুগেছিল।”

মাহতাব এখনো সিটিটিতে কর্মরত। তার বিরুদ্ধে গুম কমিশন ও আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনালে একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *